একটি মুসলিম প্রধান দেশ, যেখানে ইসলামি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরেএকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাএ দেশের ইসলামী চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ গঠনে এক বিশেষ অবদান রেখে এসেছে। তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ কওমী শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত স্বীকৃতির বাইরে থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে কওমী সনদের স্বীকৃতি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।কওমী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত ভারত উপমহাদেশে দারুল উলূমদেওবন্দের আদলে গড়ে উঠেছে। এই ধারার শিক্ষাপদ্ধতিতে কুরআন,হাদীস, ফিকহ, আরবি ভাষা ও ইসলামি দর্শন শেখানো হয়। বাংলাদেশেহাজার হাজার কওমী মাদরাসা রয়েছে, যেখানে লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা লাভ করছে। কওমী মাদরাসা জাতির ধর্মীয়, নৈতিক এবং সামাজিক দিকনির্দেশনায় ভূমিকা রেখে আসছে।২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ সনদ ‘দাওরায়ে হাদীস’কে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সমমান প্রদান করে।এটি ছিল কওমী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বর্তমানে কওমী সনদের স্বীকৃতির ফলে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারিচাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। ইসলামী গবেষণা, ইমামত,খতীব, শিক্ষা ও প্রশাসনিক খাতে কওমী শিক্ষিতরা অবদান রাখতে শুরুকরেছেন। তবে এখনো কওমী সনদধারীদের উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও
গবেষণায় অংশগ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন: শিক্ষাক্রমে আধুনিকবিষয়ের অভাব, টেকনিক্যাল দক্ষতার ঘাটতি ।