নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: মাদকের প্রতিবাদ করায় নান্দাইলে প্রবাসী আলমগীর হত্যার বিচার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী ও নিহতের পরিবার। বুধবার (১লা অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের পাঁচরুখী বাজারে এ মানববন্ধন করে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার ও গ্রেফতারের দাবি করেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে আসা ব্যক্তিরা নিহত আলমগীর হোসেন কে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানান। তারা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন। সেই সাথে শেরপুর ইউনিয়ন কে মাদক ও জুয়া মুক্ত করার সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মানববন্ধন শেষে বিচারের দাবি বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় নান্দাইল-দেয়ানগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে যানজট সৃষ্টি হয়। মানববন্ধনে নিহতের পরিবার ও শেরপুর ইউনিয়নের ৩ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের বোন সিমা আক্তার বলেন- আমার মায়ের বুক যারা খালি করেছে আইনের মাধ্যমে তাদের (হত্যাকারীদের) মায়ের বুক খালি দেখতে চাই। মায়ের কান্না আমি সইতে পারি না। এই হত্যাকারীরা এত নিষ্ঠুর ভাবে ভাইকে হত্যা করেছে এখনো চোঁখের সামনে ভাইয়ের মুখ টা ভেঁসে উঠে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বলেন- আমার ছেলেডারে সন্ধ্যার সময় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা । আমি বুঝতে পারি নাই ছেলেডারে এইভাবে মেরে বস্তা করে মাটিতে পুঁতে রাখবে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই, যারা জড়িত তাদের ফাঁসির চাই।
আরও বক্তব্য রাখেন-নিহতের ভাগনী তানিয়া আক্তার,সাদ্দাম হোসেন,মাওলানা অলিউল্লাহ্, মো. জালাল উদ্দীন, সোহেল মিয়া সহ প্রমুখ।
মাদকের প্রতিবাদ করায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নিখোঁজ হন প্রবাসী আলমগীর হোসেন(৩০)। সে শেরপুর ইউনিয়নের সংগ্রামকেলী গ্রামের আবুল কালামের পুত্র। নিখোঁজের পর আলমগীর হোসেনের মা মনোয়ারা বেগম নান্দাইল মডেল থানায় জিডি দায়ের। তিনদিন পর বাড়ির পাশে সংগ্রামকেলী বাজারে বাঁশঝাড় থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় আলমগীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী মাসুদ মিয়া ও ইমাম হোসেন রতন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।